সাম্প্রতিক প্রকাশিত রচনা

সুখ পাখি

কবি: দেবাশিষ চ্যাটার্জি ব্যস্ত শহর, ব্যস্ত মানুষ জীবনটা খুব অগোছালো; ছুটছি পথে দিনে রাতে  আসল লক্ষ্য এলোমেলো।  সুখ পাখিটার শিকল পায়ে তাই সে মুক্ত নয়, জেনে বুঝে সব মানুষই তার পিছনেই ধায়।  সুখের মানে কেউ কি জানে, সুখ কি তবে টাকা? জীবন তরী নোঙ্গর নেবে তখন সবাই একা।  দৌড়ে দৌড়ে উঠলো হাফ, হৃদযন্ত্র আঘাত দিলো; ঢের হয়েছে থামতে হবে  ইশারায় সে বলে গেলো।  কেউ বোঝে কেউ অবুঝ হয়ে দিবা রাত্রি যাচ্ছে ছুটে, ভাবছে বুঝি কুঁড়ির আগেই পূর্ণ ফুল উঠবে ফুটে।  ভরসা রাখো সময় তোমার, সঠিক দিনে হাজির হবে; তীক্ষ্ণ বুদ্ধির মায়া জালে সুখ পাখিকে চিনে নেবে।  বাঁচলে জীবন সুখ আসবেই, তাই বাঁচানো জীবন খুব জরুরি! ব্যস্ত  থাকো কর্ম যজ্ঞে সুখ পাখিটা কাজ ভিখারি।

আষাঢ়ের কান্না

কবি: ব্রজেন মল্লিক


ফুলে ভরা কৃষ্ণচূড়া দেখেই হলাম চুপ,

ফুলে ফুলে শৈল্পিকতা নয়ন জুড়ানো রূপ। 


কালো মেঘের সাদা কন্যা উড়ে উড়ে চলে,

কদম ফুলের বাহার দেখে মনটা যায় গলে। 


আষাঢ়ের কান্নায় ঝরে পড়ে বিরামহীন পানি,

কখনো সে নিক্ষেপ করে অগ্নিবীণা খানি। 


এক দেহে আগুন, জল ও শব্দ কিভাবে রাখো?

কি কারনে মানুষ মারো ভেবে একবার দেখো। 


মানুষ মেরে নিজে কাঁদো এটাই কি তব খেলা,

কেমন করে বুঝবো মোরা দেখে তব রুপের ভেলা। 


আষাঢ়ের কান্নায় ডুবে যায় নদ-নদী রাস্তা-ঘাট,

ফসলগুলো ডুবিয়ে দেয়, তেপান্তরের ঐ মাঠ। 


ঝড় বন্যায় যে কত মানুষকে গৃহ ছাড়া করো,

কান্না থেমে শীতকালে কোন গগনে ঘুমিয়ে পড়ো?

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

১৯৭১ মুক্তিযুদ্ধের স্মরণীয় মার্চ

গোলক ধাঁধা

সুখ পাখি