সাম্প্রতিক প্রকাশিত রচনা

সুখ পাখি

কবি: দেবাশিষ চ্যাটার্জি ব্যস্ত শহর, ব্যস্ত মানুষ জীবনটা খুব অগোছালো; ছুটছি পথে দিনে রাতে  আসল লক্ষ্য এলোমেলো।  সুখ পাখিটার শিকল পায়ে তাই সে মুক্ত নয়, জেনে বুঝে সব মানুষই তার পিছনেই ধায়।  সুখের মানে কেউ কি জানে, সুখ কি তবে টাকা? জীবন তরী নোঙ্গর নেবে তখন সবাই একা।  দৌড়ে দৌড়ে উঠলো হাফ, হৃদযন্ত্র আঘাত দিলো; ঢের হয়েছে থামতে হবে  ইশারায় সে বলে গেলো।  কেউ বোঝে কেউ অবুঝ হয়ে দিবা রাত্রি যাচ্ছে ছুটে, ভাবছে বুঝি কুঁড়ির আগেই পূর্ণ ফুল উঠবে ফুটে।  ভরসা রাখো সময় তোমার, সঠিক দিনে হাজির হবে; তীক্ষ্ণ বুদ্ধির মায়া জালে সুখ পাখিকে চিনে নেবে।  বাঁচলে জীবন সুখ আসবেই, তাই বাঁচানো জীবন খুব জরুরি! ব্যস্ত  থাকো কর্ম যজ্ঞে সুখ পাখিটা কাজ ভিখারি।

১৯৭১ মুক্তিযুদ্ধের স্মরণীয় মার্চ

কবি: মোহাম্মদ নাঈম কাকন


১৯৭১ইং ১লা মার্চ ইয়াহিয়া খানের এক তরফা আগ্রাসন,

পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদ অনির্দিষ্টকাল বন্ধ অধিবেশন। 

১৯৭১ইং ২রা মার্চ স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ গঠন;- 

এ-লগ্ন ক্ষণ বাংলাদেশ জাতীয় পতাকা উত্তোলন,

আব্দুর রব নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর কলাভবন। 

১৯৭১ইং ৩রা মার্চ পল্টন ময়দান আনুষ্ঠানিক ছাত্র জনসভা মুখর জনতার,

সাধারণ সম্পাদক সাহ্জাহান সিরাজ পাঠ করেন বঙ্গবন্ধুর সম্মুখে বাংলার স্বাধীনতার ইসতেহার। 

সেদিন আব্দুর রব ঘোষনা দেন বঙ্গবন্ধুকে জাতির জনক,

ভাগ্যের নির্মম পরিহাস রাজনৈতিকতার গ্যাড়াকলে বনে যায় রাষ্ট্র নায়ক। 

সেদিন আমার সোনার বাংলা জাতীয় সংগীত বাঙালির প্রথম সুর হয় পদ যাত্রা,

সারা বিশ্ব জানলো বঙ্গবন্ধু গর্জে উঠা এক কঠিন মাত্রা। ১৯৭১ইং ৪ঠ মার্চ রেডিও পাকিস্তান ঢাকার নাম হয় পরিবর্তন, 

নতুন নাম গঠনে যাত্রা শুরু ঢাকা বেতার নামকরণ । 

১৯৭১ইং ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান;

তার ঐতিহাসিক ভাষণ দেন রেসকোর্স ময়দান। 

আজ সারা বাঙালি জানে, জানে সারা বিশ্ব পর্যটক;

মুখোরচিত স্থান, বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান। 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান,

রাজনীতির কবি স্বীকৃতি পান। 

জনবহুল সম্প্রচারিত নিউজ উইক ম্যাগাজিন,

সেদিন চার দফা ভাষণে বঙ্গবন্ধু চিত্ত কর্ষণে গর্জে কঠিন। 

১৯৭১ইং ৭ই মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ছিলো স্বাধীনতার মূল দলিল;

উক্তিটি করেছিলেন বর্ণবাদ বিরোধী নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা জগৎ নিখিল। 

বঙ্গবন্ধুর এ-ভাষণ ২০১৭ইং ৩০ শে অক্টোবর স্বীকৃতি দেন ইউনেস্কো, 

বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙ্গালীর উদ্যমী চেতনা দেখে নির্ভিক সারা বিশ্ব। 

১৯৭১ইং ১৯শে মার্চ পাক বাহীনির বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তুলেন আত্মবলে ক্ষমতা;-

জয়দেবপুর তথা গাজীপুরের সংগ্রামী বীর জনতা। 

সেই বীরত্ব ১৯৭৩ইং সালে অমর মর্যাদা পায়,

জাগ্রত চৌরাঙ্গী নামে ভাস্কর নির্মাণ করে গাজীপুর চৌরাস্তায়। 

জনাব আব্দুর রাজ্জাক ছিলেন এর নির্মাতা;-

গড়ে ছিলেন চেতনার শক্ত হাতে হৃদয়ের স্পর্শতায়। 

১৯৭১ইং ২৫শে মার্চ সেদিন ছিলো বাংলার বাঙালির স্মরণীয় একটি দিন, 

ইতিহাসের পাতায় পাতায় লিখা কালো রাত্রি অপারেশন সার্চ লাইট নামকরণে আজো চিরো মলিন।

সেদিন হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম প্রখর প্রতিরোধ

জীবন বাজী রেখে বাংলার মুক্তিযোদ্ধা ভয় করেনি কোন গ্রেনেড গোলা বারুদ কামান গুপ্ত চোরা মাইন,

পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলস ই.পি. আর রাজারবাগ পুলিশ লাইন। 

১৯৭১ইং ২৬শে মার্চ বঙ্গবন্ধুর হয়ে চট্টগ্রাম বেতার মাধ্যমে 

স্বাধীনতা ঘোষনা দেন এম এ হান্নান শ্রদ্ধা ভাজন,

ঐ নির্মম নিষ্ঠুর পাক বাহিনীর হায়নার দল চট্টগ্রাম কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র ধ্বংস করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালায় অমানবিক বোমা হামলা নির্যাতন,

ইতিহাসের পাতায় পাতায় আজও আছে চির মুদ্রায়ণ। ১৯৭১ইং ২৭শে মার্চ বিধ্বংসী যুদ্ধ খেলার এক খন্ড মাটি জয়ের স্বাধীনতার আস্ফালন,

সেদিন স্বাধীনতার ঘোষনা দেন বিশিষ্ট পদ মর্যাদাশীল

মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান।

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

গোলক ধাঁধা

সুখ পাখি